- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি। এ সময়ে নির্বাচন হলে তফশিল হবে ডিসেম্বরে। যেহেতু ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে জনগণ ১৫ বছর ভোট দিতে পারেননি, সে কারণে এবার ভোটের জন্য ভোটার ও সম্ভাব্য প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। সবার মধ্যে এক ধরনের মুক্তির অপেক্ষা কাজ করছে। দীর্ঘদিন ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে সবাই আগেভাগে নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে নামতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররাই যেহেতু বড় ফ্যাক্টর, সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের হৃদয় জয় করে দলের কাছে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বেশি তৎপর। এজন্য এলাকায় নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।
তিনশ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঠিক করতে কয়েকটি টিম নিয়ে কাজ করছে অন্যতম বড় দল বিএনপি।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন হবে-এমনটা ধরেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি মাঠে নেমেছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ফিরেছেন নিজ এলাকায়। সিনিয়র নেতারাও এখন ঘন ঘন যাচ্ছেন নির্বাচনি আসনে। সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন তারা।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সকল নির্বাচনী এলাকায় সকল দলের প্রার্থীদের অভাব বিচরণ শুরু হয়েছে। অনেকে আগে থেকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে সব সময় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থাকতে দেখা গেলেও কিছু কিছু নেতা শুধুমাত্র মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সমর্থন ও জনগণের দোয়া কামনা করে যাচ্ছে।
নরসিংদী- ৪ নির্বাচনী এলাকাটি হল, মনোহরদী – বেলাব এলাকা। নরসিংদীর গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এ আসনটিতে সবার নজর রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত মনোহরদী-বেলাব উপজেলার অধিকাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করে। তাই এই আসনে বিএনপি থেকে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। সকল প্রার্থীর নজর এখন ভোটারের দিকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিদায় বেশ আগে থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন কোন না কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টায় রয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়নের জন্য দৌড়ে থাকলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাবেক জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদীর ভূইয়া জুয়েল।
কারা নির্যাতিত এই নেতা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের শাসনামল পর্যন্ত কয়েক ডজন মামলার আসামি। আব্দুল কাদীর ভূইয়া জুয়েল বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে কারাবরণ করেছেন বেশ কয়েকবার। রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি বেগম খালেদা জিয়াও তারেক রহমান এর প্রিয় পাত্র হিসেবেই পরিচিত।
রাজনীতির শুরু থেকেই আব্দুল কাদীর ভূইয়া জুয়েল সরাসরি বিএনপির সাথে জড়িত থেকে এখনো পর্যন্ত সুনামের সহিত তার রাজনৈতিক যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিয়ে তৃণমূলের মূল্যায়নকে গুরুত্ব দিবেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল কাদীর ভূইয়া জুয়েল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। জনগণের আস্থা ও দলের জন্য কাজ করাই আমার লক্ষ্য। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি এ আসনে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।” পাশাপাশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশা লাগবে সব সময় কাজ করে যাবো।
তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বলেন আব্দুল কাদীর ভূইয়া আগে থেকেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিল। বিপদে আপদে সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নির্বাচনী এলাকার সকলের খোঁজ খবর রাখে বিদায় তাকে নরসিংদী – ৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিলে সরাসরি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পাবে বলে নেতা কর্মীরা মনে করেন। ক্লিন ইমেজের একজন প্রার্থী হিসেবে আব্দুল কাদীর ভূইয়া জুয়েল যোগ্য বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেন।
https://slotbet.online/