জেলা-উপজেলাসহ বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
আহবায়ক কমিটি গঠন তিন মাসের, বছরের পর বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি বিভিন্ন জেলা উপজেলায়।
২০১৯ সালে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে দিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত আবার কোথাও কোথাও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত তিন মাসের জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন।আহবায়ক কমিটি গঠন তিন মাসের, বছরের পর বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি বিভিন্ন জেলা উপজেলায়।
তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি বছরের পর বছর পার হওয়া সত্তেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কেন্দ্র থেকে মীমাংসার জন্য কমিটি গঠন করা হলেও বিভেদ কমছে না। বরং সংঘর্ষে গড়াচ্ছে অনেক জায়গায়। ফলে চলমান নির্বাচন কেন্দ্রিক সভা-সমাবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন দলের সিনিয়র নেতারা।
সময় যতই যাচ্ছে, কমিটি গঠন নিয়ে মতবিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, দখলসহ নানা কারণে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরো প্রকাশ্য হচ্ছে।
কমিটির বাইরে থাকা নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলীয় পদে থাকা বিএনপির কতিপয় নেতা পদ-পদবি ভাঙিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মে জড়িয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। করছেন মামলা বাণিজ্য। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ক্ষুব্ধ হচ্ছেন দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা, যারা গত ১৬ বছর জেল-জুলুমসহ স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার।
আবার পদপদবী ওয়ালাদের পক্ষের নেতাকর্মীদের পাল্টা অভিযোগ, যারা বিগত ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত থেকেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারাই এখন মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দখলবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়াচ্ছেন।
এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দলের কোনো পদে না থেকেও তারা দলের নাম ভাঙিয়ে সব অপকর্ম করে যাচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে একাধিকবার সতর্ক করার পরও তারা থামছে না।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, কমিটি গঠন নিয়ে দলের জেলা ও উপজেলার নেতারা আন্তরিক নয়। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের সৃষ্ট কোন্দলের কারণে কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে; সঙ্গে বাড়ছে কোন্দলও। তারা অবিলম্বে বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলার পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ারও দাবি জানান।
তবে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের তারা বলছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা অতি দ্রুত প্রয়োজন।
আবার তৃণমূলের কিছু নেতা কর্মীরা আব্দুর বলেন, সুসময়ে এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে নেতার অভাব নেই। নেতৃত্বের জট লেগে যাচ্ছে। দলের জন্য যারা হাসিনার আমলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের যেন মূল্যায়ন করা হয় বলেও দাবি জানান।
নাম না জানার শর্তে বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, লজ্জার কথা! জেলা ও উপজেলা এলাকায় বিএনপির শত শত নেতাকর্মী থাকা সত্ত্বেও গঠনতান্ত্রিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে কাউন্সিল না হওয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার স্পষ্ট প্রমাণ।
https://slotbet.online/